কীভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন?

বর্তমানে কাউকে তার জীবিকা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বেশিরভাগ উত্তরদাতাই বলেন যে তিনি একজন ফ্রিল্যানসার। বেকারগ্রস্ততা, আর্থিক অভাব-অনটন কিংবা ভালো মানের চাকুরী না পাওয়ার দরুণ লক্ষ লক্ষ তরুণ আজ ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিচ্ছে। 

কিন্তু কেন তারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের দিকে ঝুঁকছে? একজন ফ্রিল্যান্সার কি আদৌ দীর্ঘ দিন যাবৎ তার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে ধরে রাখতে পারে? ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি?- আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য এই বিস্তৃত গাইডটি। 

 

ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মূলত একটি চুক্তি ভিত্তিক পেশা। যেখানে আপনি কোনো সংস্থার অধীনে কাজ করার ঝামেলার পরিবর্তে নিজস্ব দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ক্লায়েন্টকে আপনার সার্ভিস প্রদান করতে পারবেন। 

একজন ফ্রিল্যান্সার তার বিজনেসের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রদান করে থাকে। তার মধ্যে কিছু কমন সার্ভিসগুলো হলো:

  • অ্যাকাউন্টিং/বুককিপিং
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • মার্কেটিং
  • প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
  • স্যোশাল মিডিয়া ম্যানেজার
  • টিচিং/ টিউটোরিং
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিসটেন্ট
  • ওয়েব ডিজাইন/ডেভেলোপমেন্ট
  • রাইটিং/ইডিটিং

কিছু ফ্রিল্যান্সার সাধারণ ক্ষেত্রগুলিতে ফোকাস করে থাকে এবং অন্যান্যরা স্পেসিফিক ইন্ডাস্ট্রিজের দিকে ফোকাস করে যেমন: রিয়েল এস্টেট অ্যাসিসটেন্ট, অথবা Pay-Per-Click (PPC) কপিরাইটার্স ইত্যাদি। 

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং এ ইনকাম নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আপনার টার্গেটিং মার্কেটপ্লেসের ওপর। একজন ফ্রিল্যান্সার তার দক্ষতার মাধ্যমেই প্রতি ঘন্টায় 10 ডলার থেকে 75 ডলার পর্যন্ত উপার্জন করতে পারে।

অতএব,সাধারণ কথায় ফ্রিল্যান্সিং হ’ল  নিজের দক্ষতা, শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করা। ফ্রিল্যান্সিং সাধারণত আপনি ঘরে বসে করতে পারেন। তবে কাজের ধরণ এবং ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টের অফিসেও কাজ করতে হতে পারে। 

 

ফ্রিল্যান্সার কে?

সাধারণত ফ্রিল্যান্সার তাকেই বলা হয় যিনি একাধিক ক্লায়েন্টকে সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। তবে ভালো সার্ভিস প্রদানের জন্য অবশ্যই দক্ষতাসম্পন্ন হওয়া জরুরী। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত Fiverr, 99designs এর মতো থার্ড-পার্টি প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহারের মাধ্যমে এবং সরাসরিও ক্লায়েন্টদের সার্ভিস প্রদান করে থাকে। 

কিন্তু অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে এবং ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কি আদৌ যুক্তিযুক্ত পছন্দ? আপনি কীভাবে  ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?

এ সমস্ত প্রশ্ন যদি আপনার মাথায় ঘুরপাক খায় তাহলে চলুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর দিকে তাকাই। যেখানে প্রায় 57 মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করছে। প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১১ শতাংশ প্রাথমিকভাবে ফুল-টাইম ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করছে। 

এছাড়াও বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ  ফ্রিল্যান্সার রয়েছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ মাসিক আয়ের ভিত্তিতে কাজ করছে। আউটসোর্সিং তালিকায় বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়তম অবস্থানে আছে। এ থেকে খুব সহজেই ধারণা করা যায় যে  ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং অবশ্যই একটি যুক্তিযুক্ত পছন্দ।

 

ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধাসমূহ

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয় পুরো বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। 

  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় 53 মিলিয়ন ফ্রিল্যান্সার জাতীয় অর্থনীতির জন্য $715 বিলিয়ন উপার্জনে অবদান রেখেছে।
  • ফ্রিল্যান্সারদের বেশিরভাগই মহিলা (৭১.১%) এবং পুরুষ ২৯.৯%।
  • 56% ফ্রিল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় 20 ডলার – 59 ডলার আয় করে থাকে।
  • একজন রাইটার প্রতিটি ব্লগ পোস্টে $ 58 – $ 82 পর্যন্ত আয় করে।
  • ডিজাইনাররা গড়ে প্রতি ঘন্টায় $ 52 -$ 90 ডলার পান।
  • প্রোগ্রামাররা গড়ে প্রতি ঘন্টায় $ 63 – $180 ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।

সুতরাং, এ থেকেই বোঝা যায় যে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মোহনীয় পেশা। একজন ফ্রিল্যান্সার তার নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী যে কোন জায়গা থেকেই এমনকি ঘরে বসেই কাজ করার স্বাধীনতা পায়। ভালো দক্ষতার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই অধিক উপার্জন করতে পারে।

 ফ্রিল্যান্সিং করার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন: 

নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে পাকাপোক্ত ভাবে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। আর সেই পরিশ্রমকে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী ভাগ করে নিতে পারবেন। আপনি ইচ্ছানুযায়ী আপনার কাজের সিডিউল তৈরী করতে পারেন।

এতে আপনার ব্যক্তিগত কাজের কোনো রকম সমস্যা হবে না।

নিজেই নিজের সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন

ফ্রিল্যান্সিং এর একটি চমৎকার সুবিধা হচ্ছে আপনি কি ধরনের সার্ভিস দিচ্ছেন তার একটি যুক্তিসঙ্গত  মূল্য আপনার পছন্দ অনুযায়ী ক্লায়েন্টের কাছে থেকে চাইতে পারেন।

শুরুটা সাশ্রয়ী

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রয়োজন কেবল কিছু ডিভাইস যেমন: ল্যাপটপ/ডেস্কটপ/কম্পিউটার এবং সেইসাথে প্রয়োজন আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা। সেইক্ষেত্রে আপনার কাছে এগুলো থাকলেই আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার চিন্তা করতে পারেন।

আপনাকে বাড়তি কোনো ব্যয় করতে হবে না।

হাই ডিমান্ড রয়েছে

প্রতিযোগিতামূলক ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলিতে নির্ভরযোগ্য দক্ষতাসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সারদের একটি হাই ডিমান্ড রয়েছে। আজকাল বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে কর্মচারীর পরিবর্তে ফ্রিল্যান্সারদের ওপর নির্ভরশীলতার প্রবণতা বাড়ছে।

নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী ক্লায়েন্ট বেছে নিতে পারেন

ফ্রিল্যান্সিংএ  আরও একটি ভালো সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ক্লায়েন্ট বাছাই করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না ক্লায়েন্ট আপনাকে তার কাজে নিয়োগ দেয়। 

মূলত এই সমস্ত সুবিধাদি অনেক লোককে ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিতে আকর্ষণ করে। এবং কীভাবে সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন? সে সম্পর্কে আগ্রহ তৈরী করে। 

 

অসুবিধাসমূহ

ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। কেননা, ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সবাই উপযুক্ত নয় আবার ফ্রিল্যান্সিং ও সবার জন্য উপযোগী নয়। সেক্ষেত্রে অসুবিধাসগুলো হলো:

 

আপনার ক্লায়েন্টেরও কাজের সিডিউল রয়েছে

হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি নিজের কাজের সিডিউল নিজেই নির্ধারণ করতে পারেন। তবে কখনো কখনো আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টের সাথে কাজের আপডেট এর জন্য নির্ধারিত সময় মেইনটেইন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

আপনাকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেও কাজ করতে হতে পারে। আর তাই আপনাকে সময় পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে।

কাজ সবসময় ধারাবাহিক হয় না

আপনার নির্দিষ্ট ক্লায়েন্টের কাজ শেষ হওয়ার পর আপনাকে পরবর্তী কাজ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে ( প্রথমদিকে কাজ পাওয়ার জন্য আপনার বিপণন করার এবং প্রচার করার প্রয়োজন পড়বে)। দক্ষ ফ্রিল্যান্সারেরা ক্লায়েন্টের একটি কাজ চালানোর পাশাপাশি আরও কাজ পাওয়ার জন্য ক্লায়েন্টের সন্ধান করে থাকে।

ফলে তারা তাদের কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে এবং অল্প সময়েই তারা ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। 

রাতারাতি ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়া সম্ভব নয়

ফ্রিল্যান্সিং এ খুব তাড়াতাড়ি সফল হওয়া এক রাতের ব্যাপার নয়। কেননা শুরুর দিকে আপনার ক্লায়েন্ট পেতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে। তবে এটা পুরোপুরি আপনার আগ্রহ এবং পরিশ্রমের ওপর নির্ভরশীল।

ক্লায়েন্ট পেতে আপনাকে কাজে অধিকতর সময় দেয়ার এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। স্বল্প ব্যয়েরও প্রয়োজন হতে পারে। 

একাধিক ক্লায়েন্ট এবং প্রজেক্ট ম্যানেজ করা আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে

একসাথে একাধিক প্রজেক্টের সাথে কাজ করা এবং অধিক ক্লায়েন্টদের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা মেইনটেইন করা আপনার জন্য অসুবিধা হতে পারে। তাই ভালো ও মানসম্পন্ন সার্ভিস প্রদানের জন্য আপনাকে আপনার সময় এবং কাজের গতি বাড়াতে হবে। 

কীভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন?

 

কীভাবে ফ্রিল্যান্সার হবেন?

ফ্রিল্যান্সার হওয়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু অর্ডার করার মতোই সহজ। কীভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন? এটা চিন্তা করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে যে কীভাবে ফ্রিল্যান্সার হবেন?  তবে তার জন্য আপনাকে এমন সাইটগুলিতে যেতে হবে যেখান থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।

নিচে এমন কয়েকটি সাইটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ট্রাই করতে পারেন:

ফাইভার:

ফাইভার হচ্ছে ভবিষ্যত ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম মার্কেটপ্লেস। এই ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি নিজস্ব অ্যাকাউন্ট তৈরী করতে হবে।

আপনার কাজের দক্ষতা শেয়ার করার জন্য গিগস তৈরী করতে হবে এবং তা প্রচার করতে হবে।

99 Designs:

আপনি যদি ডিজাইনার হন এবং আপনার যদি খুবই ভালো দক্ষতা থাকে আপনার সার্ভিস প্রদানের জন্য এটি উপযুক্ত জায়গা। 

আপওয়ার্ক:

আপওয়ার্ক হ’ল এমন একটি প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি অনেক বেশি বিজনেস ক্লায়েন্ট পেতে পারেন।

Freelancer.com:

এটি হ’ল সবচেয়ে পুরোনো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে একটি। যা আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে বেছে নিতে পারেন।  

 

কীভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন?

ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংকে ধরে রাখার জন্য প্রচুর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। তবেই আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে আপনার নিজের জন্য একটি ফ্রিল্যান্স ব্র্যান্ড সেটআপ করতে হবে।  আপনি নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন-

১)  আপনি কি ধরনের সার্ভিস অফার করবেন তা ঠিক করুন।

২) আপনি কোন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে চান তা টার্গেট করা নিশ্চিত করুন।

৩) আপনি আপনার সার্ভিসের অফার প্রমোট করবেন এমন সব প্ল্যাটফর্মগুলি (ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলি) বেছে নিন। আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন।

৪) আপনার রেট নির্ধারণ করুন।

৫) আপনার niche-specific পোর্টফোলিও প্ল্যাটফর্মগুলিতে একটি অনলাইন পোর্টফোলিও তৈরি করুন। ডেভেলোপারদের জন্য-GitHub, ডিজাইনারদের জন্য-Behance ইত্যাদি সেরা। সেইসাথে আপনি আপনার দক্ষতা এবং প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য একটি ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

৬) আপনার সার্ভিসগুলি প্রচুর পরিমাণে মার্কেটিং করুন। এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং       করুন, ফ্রি বা খুব কম ব্যয়ে কিছু অফার করুন ( এটি আরও বেশি পরিমাণ ট্র্যাকশন পেতে আপনাকে সাহায্য করবে), রেফারেলের জন্য জিজ্ঞাসা করুন এবং ইমেল মার্কেটিং করুন।

ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে খুব ভালো একটি আয়ের উৎস। তবে এতে তাড়াহুড়োর সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ার কিছু নেই। আপনি প্রথম অবস্থায় কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য এটিকে পার্ট-টাইম হিসেবে নিতে পারেন। এবং পরবর্তীতে আপনি কীভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন? তা পুরোপুরি আপনার নিজের পরিশ্রম এবং ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে।

 

চূড়ান্ত পরামর্শ

মূলত, ফ্রিল্যান্সিং সবার জন্য উপযোগী নয় আবার সবাই এই কাজের জন্য উপযুক্তও নয়। সেক্ষেত্রে সকল পারিপার্শ্বিক দিক চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ। ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি স্বাধীন পেশা। 

তবে ব্যক্তিত্বভেদে অনেকের চাকুরীজীবনই অধিক পছন্দের। আপনি যদি কোনো ট্রেডিশনাল কাজের চেয়ে মুক্তপেশার মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন তবে ফ্রিল্যান্সিং কেবল আপনারই জন্য।

কীভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন?

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *