কিছু দিন পূর্বে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর উপরে সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল আমার আইটি উদ্যোক্তা হিসেবে। পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ায়। সেখান থেকে প্রাপ্ত কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমরা বড় বড় ৩ টি শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে পূর্বে থেকে জানি
প্রথম: ১৭৮৪ সাল, বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার
দ্বিতীয়: ১৮৭০ সাল, বিদ্যুতের আবিষ্কার
তৃতীয়: ১৯৬৯ সাল, ইন্টারনেটের আবিষ্কার
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: ? যেটাকে অনেকে বলছেন ডিজিটাল বিপ্লব
#যেটা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। আরও ভালভাবে যদি বলি এই করনা মহামারীর কালে যাদের ব্যাবসা অনলাইন ভিত্তিক তাদের সেল আছে বাকিরা নিরুপায় হয়ে ঘরে বসে আছি।
একটু বিস্তারিত বলি~
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হিসেবে ডিজিটালাইজেশন এরই মধ্যে সর্বক্ষেত্রে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এবং সামনে আরও ম্যাজিক অপেক্ষা করছে। এ পরিবর্তন হলো সূত্রপাত মাত্র। আগামী ১০ বছরে ডিজিটাল বিপ্লবের ফলে এমন সব পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের, যা এর আগে কখনো সম্ভব হয়নি। বিশ্বের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে দুই ধরনের মত পাওয়া যাচ্ছে। একদল বিশেষজ্ঞ বলছেন, এতে সব মানুষেরই আয়ের পরিমাণ ও জীবনমান বাড়বে। বিশ্বের পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়ায়ও ডিজিটাল প্রযুক্তি আনবে ব্যাপক পরিবর্তন। এক দেশ থেকে আরেক দেশে পণ্য পাঠানোর খরচ অনেক কমে আসবে, ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে।
অন্য একদল অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ডিজিটাল বিপ্লব বিশ্বের অসাম্য ও দারিদ্র্য পরিস্থিতিকে আরো দুর্বিষহ পর্যায়ে নিয়ে যাবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে মানুষের অনেক কাজ রোবট ও যন্ত্রপাতি দিয়ে করা হবে। ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তা সমস্যা তৈরি করবে। এছাড়া শ্রমবাজারে অল্প কর্মদক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা ও বাজার কমে যাবে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সমস্যায় ফেলবে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল বিপ্লবের প্রভাব হবে ব্যাপক। ব্যতিক্রমী পণ্যসেবার পাশাপাশি নিয়ত পরিবর্তনশীল গ্রাহক চাহিদা পূরণে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি ব্যবহারে সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এর প্রেক্ষিতে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বলেছে আগামি ২০ বছরের মধ্য এখন কার সরকারি বেসরকারি বর্তমান ৪৭% জব থাকবেনা। ৭০ মিলিয়ন মানুষ তাদের বর্তমান কাজ হারাতে পারে।
তাহলে এখন প্রশ্ন এই জব গুলি কোথাই যাবে~
মানুষের অনেক কাজ রোবট ও যন্ত্রপাতি নিয়ে নিবে। এখন অলরেডি অনেক কাজ রোবট এবং মেশিন করা শুরু করে দিয়েছে।
এত গেল তথ্য উপাত্ত এর ব্যাপার। বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যাবসা বাচাতে কর্মী ছাটায় করবে। এবং ভিন্ন পধতি ও উপায় বের করবে।
আমার আপনার উপাই কি?
তবে আসার দিক হচ্ছে যারা নিজেদেরকে পরিবর্তনশীল ব্যাবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে তারা বেচে যাবে।
সারভাইভবাল এর প্রধান সুত্র হচ্ছে নিজেকে পরিবর্তন করা এবং মানিয়ে নেয়া। বিখ্যাত টিভি সিরিজ আমার খুব 😍ফেভারিট Man vs. Wild এ বেয়ার গ্রিলস নামক ভদ্র লোক জিনি দেখান বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে কিভাবে সারভাইব করতে হয়।
যেহেতু কাজের ধরন চেঞ্জ হবে তাই যাদের দক্ষতা থাকবে তাদের ভয় নাই। স্কিল লোকেদের চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যাবে। ক্রিয়েটিভ কাজ এর ডিমান্ড বাসি হবে।
শেষ কথাঃ আপনি যদি প্রযুক্তি ব্যাবহারে পারদর্শী হন তাহলে গেম চেঞ্জার আপনিই হবেন। তাই দেরি না করে আপনার ব্যাবসা অনুযায়ী স্কিল ডেভেলপমেন্ট এ মনোযোগ দিন। আপনার ব্যাবসা অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক করে ফেলুন।
আরিফুল ইসলাম
বগুড়া, ১৮.০৫.২০২০