ব্লগিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি কি?

What pros and cons of blogging

ব্লগিং একদিকে যেমন মানুষকে তাদের গল্প বলার ও চিন্তা ভাগাভাগি করার সুযোগ দেয়, তেমনই  উপার্জনেরও সুযোগ রয়েছে। তবে ব্লগিং এ যেমন সুবিধা রয়েছে , তেমন কিছু অসুবিধাও রয়েছে।

ব্লগিং এর অন্যতম প্রধান সুবিধা হল এর মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের মতামত ও চিন্তা বিনিময়ের সুযোগ ঘটে। এটি একটি সৃজনশীলতার প্রকাশের মাধ্যম।তবে অসুবিধা এটি সময়ের ব্যাপক বিনিয়োগ ও কখনও কখনও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হারানোর কারণ হতে পারে।

ব্লগিংয়ের সুবিধা হচ্ছে সৃজনশীলতা প্রকাশ, লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আর্থিক উপার্জনের সুযোগ। ব্লগিংয়ের অসুবিধা হলো সময়সাপেক্ষ হওয়া, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ঝুঁকি এবং নেগেটিভ মন্তব্যের সম্মুখীন হওয়া।  ব্লগারদের জন্য কনটেন্ট মান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি, যা অনেক ক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।

ব্লগিং কি ?

ব্লগারের ব্লগ লেখার প্রক্রিয়াকে ব্লগিং বলা হয়। ব্লগিং বর্তমান সময়ের ইন্টারনেট নির্ভর একটি অনেক জনপ্রিয় পেশা। যারা ব্লগ লেখে তারা সাধারণত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ হয়। তারা তাদের অভিজ্ঞতা নিয়মিত ভাবে ব্লগে লিপিবদ্ধ করে রাখে। সেই লেখা পড়ে সাধারণ মানুষ তাদের জীবনের নানা সমস্যা সমাধান করে।

ব্লগিং হলো একটি ডাইরি বা ম্যাগাজিন যেখানে একজন ব্লগার তার অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ লেখা, ছবি এবং ভিডিও এর মাধ্যমে শেয়ার করে।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন?

ব্লগিং শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বিষয় নির্ধারণ করে নিতে হবে, যেমনঃ-

  • কোন বিষয়ের উপর ব্লগ লিখবেন?
  • কাদের জন্য লিখবেন?
  • এর থেকে কি আয় করবেন?
  • প্রি-প্লানিং

উপরিউক্ত বিষয়গুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করবেন এর পর শুরু করবেন ব্লগ লেখা ।

ব্লগিং কেন প্রয়োজন ?

ব্লগিং দুই প্রকার হয়। প্রথমত নিজের জ্ঞান সবার জন্য উন্মুক্ত করা, দ্বিতীয়ত ইনকাম করার জন্য। বর্তমান সময়ে ইনকাম সোর্স হিসেবে ব্লগিং সবার প্রথমে আসে। কারণ ইন্টারনেট থেকে আয় করার জন্য ব্লগ অনেক ভালো একটি মাধ্যম। এখন সবাই ব্লগ তৈরি করে আয় করার জন্য। একজন শিক্ষক যেমন তার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে উপার্জন করে তেমনি একজন ব্লগার তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অনলাইনে ইনকাম করে।

ব্লগিং করার কারণে মানুষ যা অর্জন করবে তা হলোঃ-

  1. অনলাইনে নিজের পরিচিতি অর্জন করবে
  2. অনলাইন থেকে ইনকাম করে অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল হবে
  3. নিজের ক্যারিয়ার তৈরি হবে
  4. নিজের সৃজনশীলতা আরো বৃদ্ধি পাবে

ব্লগিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি কি?

ব্লগ এর বাংলা পারিভাষিক শব্দ হলো ডাইরি। অর্থাৎ আমরা একটি ডাইরিকে যেভাবে ব্যবহার করি ব্লগ ঠিক সেই কাজের জন্যই ব্যবহৃত হয়। সময়ের সাথে সাথে ব্লগ অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। বর্তমান যুগে ব্লগ অর্থ বুঝায় ইন্টারনেটে ব্লগ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লেখালেখি করা। যারা এই ব্লগে লেখালেখি করে তাদের ব্লগার বলা হয়।

ব্লগারের ব্লগ লেখার প্রক্রিয়াকে ব্লগিং বলা হয়। ব্লগিং বর্তমান যুগের ইন্টারনেট নির্ভর একটি অনেক জনপ্রিয় পেশা। ব্লগিং করা খুব সহজ কাজ নয় । ব্লগিং করার পেছনে যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি অসুবিধাও রয়েছে । চলুন জেনে নেওয়া যায় ব্লগিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি কি?

ব্লগিং এর সুবিধা সমূহ

  • ঘরে বসে কাজ করা যায়
  • নিজের সুবিধা মত সময়ে কাজ করা যায়
  • অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়
  • নিজের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা যায়
  • লেখার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি হয়
  • স্বল্প খরচে কাজটা করা যায়
  • নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায় ইত্যাদি

ব্লগিং এর অসুবিধা সমূহ

  • ব্লগিং করার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার
  • নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে হয়
  • মানসিক ক্লান্তিকর চাপের কারণ হতে পারে
  • ব্লগিং থেকে আয় করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার
  • ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হারাতে পারে
  • অনেক নেতিবাচক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়
  • ব্লগিং জগতে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয়

পরিশেষে বলা যায়, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে একজন নতুন ব্লগার ধারণা পাবে যে, ব্লগিং কি ? ব্লগিং করা কেন প্রয়োজন ? ব্লগিং এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি ?

স্টাডিটেক সর্বদা চেষ্টা করে যে, আপনাদের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং এর সবগুলো টপিকে সঠিক তথ্য দিতে স্টাডিটেক এর ওয়েবসাইট থেকে আপনারা ধারণা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন এবং নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন।

আরো পড়ুন:

নিয়মিত ব্লগ পোস্ট পড়তে আমাদের ব্লগটি ভিজিট করুন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদেরকে ফেসবুকে ফলো করতে পারেন আমাদের স্টাডিটেক ফেসবুক পেজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *