সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কী?
আপনার ব্র্যান্ড তৈরী, সেলস বৃদ্ধি এবং ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক ড্রাইভের ক্ষেত্রে দর্শকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিই মূলত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হিসেবে পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে দুর্দান্ত কনটেন্ট পাবলিশড করা, ফলোয়ার ইনগেজিং, রেজাল্ট অ্যানালাইজিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডভার্টাইজিং সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া মাকেটিং এর অন্তর্ভূক্ত।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি হলো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন, পিন্টারেস্ট এবং স্ন্যাপচ্যাট। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুল রয়েছে যেগুলো উপরোক্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে বর্তমান বিজনেসগুলিকে সর্বাধিক সুবিধা অর্জন করতে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, “বাফার” হচ্ছে সেই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলগুলির মধ্যে একটি প্ল্যাটফর্ম, যা আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে সাফল্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
আপনি যদি আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরী করতে অথবা বিজনেস গ্রো করতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনার উচিত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভালোভাবে জেনে নেওয়া।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর পাঁচটি মূল বিষয়
1. কৌশল
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পাবলিশড করার আগে আপনার প্রথম পদক্ষেপ হলো সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল সম্পর্কে চিন্তা করা।
আপনার লক্ষ্য কী? সামাজিক মিডিয়া কীভাবে আপনার ব্যবসায়ের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে ?
কিছু বিজনেস তাদের ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়াতে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে, আবার কিছু বিজনেস এটি ব্যবহার করে তাদের ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক এবং সেলস পরিচালনার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়া আপনার ব্র্যান্ডের চারপাশে ইনগেজমেন্ট জেনারেট করতে,কমিউনিটি ক্রিয়েট এবং আপনার কাস্টমারদের জন্য কাস্টমার সাপোর্ট চ্যানেল হিসেবে সার্ভ করতে সহায়তা করতে পারে।
আপনি কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ফোকাস করতে চান?
উপরে উল্লিখিত সেরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি হ’ল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন, পিনট্রেস্ট, ইউটিউব এবং স্ন্যাপচ্যাট। এছাড়াও ছোট এবং আপকামিং প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে রয়েছে টাম্বলার, টিক-টক, অ্যাঙ্কর, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ওয়েচ্যাট ইত্যাদি। শুরু করার ক্ষেত্রে এমন প্ল্যাটফর্ম বেছে নিন যেখানে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলির তুলনায় টার্গেট অডিয়েন্স বেশি।
কী ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করতে চান?
কোন ধরনের কনটেন্ট আপনার সেরা টার্গেট অডিয়েন্সকে আকর্ষণ করতে পারে? চিত্র,ভিডিও অথবা লিঙ্ক? এটি কি শিক্ষামূলক অথবা বিনোদনমূলক? শুরু করার জন্য সেরা উপায় হচ্ছে মার্কেটিং পার্সোনালিটি তৈরী করা, যা আপনাকে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে সহায়তা করবে।
আরো সুবিধা হলো আপনি আপনার কনটেন্ট এর পারফর্ম অনুযায়ী আপনার কৌশলকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
2. প্ল্যানিং অ্যান্ড পাবলিশিং
অপেক্ষাকৃত ছোট বিজনেসের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়াতে ধারাবাহিক উপস্থিতি দিয়ে শুরু হয়। বর্তমান সময়ে ছোট এবং মাঝারি বিজনেসগুলির ৮১% সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভরশীল। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনার উপস্থিতি বাড়িয়ে তুলুন এবং আপনার ফিউচার কাস্টমারদের আপনার ব্র্যান্ডের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ দিন।
সোশ্যাল মিডিয়া পাবলিশিং সাধারণত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ব্লগ পোস্ট, ইমেজ অথবা ভিডিও শেয়ার করার মতোই সহজ। মূলত আপনার ফেইসবুক প্রোফাইল শেয়ার করার মতো। সুতরাং, অনায়াসে কনটেন্ট ক্রিয়েট এবং পাবলিশিং এর পরিকল্পনা করুন। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার সর্বাধিক উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য অডিয়েন্সের পছন্দ অনুযায়ী সঠিক সময় এবং ফ্রিকোয়েন্সিতে ভালোমানের কনটেন্ট পাবলিশড করুন।
বর্তমানে বাফার পাবলিশের মতো বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া শিডিউলিং টুল রয়েছে যেগুলো আপনার পছন্দসই সময়ে অটোমেটিক্যালে কনটেন্ট পাবলিশড করতে পারে।
3. লিসেনিং অ্যান্ড ইনগেজমেন্ট
আপনার বিজনেস এবং সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়িং গ্রো করার পাশাপাশি আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে কথোপকথনও বাড়বে। লোকেরা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে কমেন্ট করবে, তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলিতে আপনাকে ট্যাগ করবে, অথবা আপনাকে সরাসরি ম্যাসেজ দেবে।
এমনকি লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে কথাও বলতে পারে। যা আপনি চাইলে মনিটর করতে পারবেন। আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির সমস্ত নোটিফেকশন চেক করতে পারবেন, যদিও এটি খুব বেশি কার্যকরী নয়। কেননা, আপনার বিজনেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ট্যাগ না করা হলে আপনি সাধারণত কোনও পোস্ট দেখতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে আপনি এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া লিসেনিং অ্যান্ড ইনগেজমেন্ট টুল ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে বিজনেস সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ট্যাগ না করা হলেও আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মেনশন এবং ম্যাসেজসহ সমস্ত পোস্ট দেখতে পারবেন।
4.অ্যানালিটিক্স
আপনি কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনগেজ আছেন কি না অথবা কোন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশড করছেন, কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরিচালনা করছেন? গতমাসের তুলনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আরোও বেশি লোকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন কি না? একমাসে কতটি পজিটিভ মেনশন পেয়েছেন? কতজন লোক তাদের ব্র্যান্ডের হ্যাশট্যাগগুলো তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে ব্যবহার করেছে?
মূলত, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি এ জাতীয় সমস্ত তথ্যের বেসিক লেভেল প্রোভাইড করে থাকে। এছাড়াও আরো গভীরভাবে অ্যানালিটিক্স ইনফরমেশন পেতে Buffer Analyze এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যানালিটিক্স টুল ব্যবহার করতে পারেন।
5. অ্যাডভার্টাইজিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বাড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডভার্টাইজিং একটি কার্যকরী কৌশল। সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপনগুলি আপনাকে আপনার অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দেয়। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলি এতটাই পাওয়ারফুল যে কে আপনার বিজ্ঞাপনগুলি পরিদর্শন করলো তা আপনি সহজেই নির্দিষ্ট করে বলতে পারবেন।
আপনি শ্রোতাদের ডেমোগ্রাফিক, ইন্টারেস্ট, আচরণ এবং আরো কিছুর ওপর ভিত্তি করে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স তৈরী করতে পারবেন। একসাথে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডভার্টাইজিং করার ক্ষেত্রে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডভার্টাইজিং টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: A Simple Definition
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সুবিধা
কোনো কোম্পানীতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন:
1. ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আপনার কোম্পানীর ইনগেজমেন্ট ড্রাইভের মাধ্যমে ব্র্যান্ড সচেতনতাকে বাড়িয়ে তোলে। এর মধ্যে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং রি-পোস্ট ইত্যাদি অন্তভূক্ত। সোশ্যাল মিডিয়া আপনার সাইটে সরাসরি ট্র্যাফিক নির্দেশ করে ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করে। আপনার নিজস্ব প্রোফাইল, বায়ো এবং পোস্টগুলিতে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক সরাসরি অন্তর্ভূক্ত করে এটি করতে পারেন।
2. লিডস এ্যান্ড বুস্ট কনভার্সন জেনারেট
আপনার প্রোডাক্টগুলিকে প্রমোট এবং শেয়ার করা মূলত লিড জেনারেশন, বুস্ট কনভার্শস এবং সেলস ইনক্রেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহজ উপায়। কেননা আপনি সেই সব লোকের কাছেই বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন যারা আপনার সাথে ইনগেজ আছে এবং সচরাচর আপনার অ্যাকাউন্টকে ফলো করে থাকে।
কিছু সহজ উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আরো বেশি লিড জেনারেট করতে পারেন। যেমন:
- আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে অংশ নেয়ার জন্য আপনার ভিজিটর এবং ফলোয়ারদের জন্য প্রতিযোগিতা তৈরী করুন।
- আপনার প্রোফাইলের বায়ো সেকশনে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক এবং অফারগুলো যুক্ত করুন।
- প্রোডাক্টস সম্পর্কিত অ্যানাউন্সমেন্ট তৈরী করতে লাইভ-ভিডিওগুলি হোস্ট করুন এবং আপনার কোম্পানীর এক্সিটিং নিউজ সম্পর্কিত আপডেট অথবা ডিটেইলস প্রোভাইড করুন।
- আপনার চ্যানেলগুলির মধ্যে যে কোন একটি চ্যানেলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্রচারকার্য বাস্তবায়ন করুন।
- সোশ্যাল প্রোফাইল গুলোর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টগুলো সেল করুন।
3. কাস্টমারদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন
আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারদের সাথে কানেক্ট হওয়ার মাধ্যমে তাদের এবং আপনার বিজনেসের মধ্যে একটি স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।
আপনার পোস্টগুলিতে তাদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে, তাদের প্রশ্ন বা কমেন্টে রেসপন্স করে এবং তাদের যে কোনো প্রয়োজনে সহায়তা করার মাধ্যমে আপনি এটি করতে পারেন। আপনি আপনার ফলোয়ারদের আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে, তাদের অসুবিধা এবং চাহিদা সম্পর্কে প্রশ্ন করুন। তাদের সহায়তা করার মাধ্যমে আস্থা তৈরী করুন এবং এটা দেখান যে আপনি তাদের সহায়তা করতে কতটা তৎপর।
4. আপনার প্রতিযোগীদের থেকে শিক্ষা নিন
মূলত, সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে আপনার প্রতিযোগীদের ওপর নজর রাখার দূর্দান্ত একটি উপায়। তারা কীভাবে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল অবলম্বন করে তাদের পণ্যের প্রচার চালাচ্ছে, ফলোয়ারদের সাথে তাদের যোগাযোগ লেভেল কতটা উন্নত ইত্যাদি লক্ষ্য করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া আপনাকে আপনার প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কী দরকার এবং কোনটি দরকার নেই তা বোঝার সুবিধা দিয়ে থাকে। এই কারণে আপনি আপনার কোম্পানীর অগ্রসর হওয়ার জন্য কোনো টার্ম পরিবর্তন করা উচিত কী উচিত নয় তা সহজেই নির্ধারন করতে পারেন।
এছাড়াও আপনার প্রতিযোগীদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট রিভিউ গুলি এটা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে যে আপনার মার্কেটিং কৌশল টেকসই এবং আপনার ব্র্যান্ডের জন্য সম্পূর্ণ ইউনিক।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: A Simple Definition
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কৌশল
1. বায়ার পার্সোনাস এবং অডিয়েন্স রিসার্চ করুন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কৌশল তৈরীর প্রথম পদক্ষেপ হলো আপনার বায়ার পার্সোনাস এবং অডিয়েন্সের প্রয়োজন এবং চাহিদাগুলি ভালোভাবে টার্গেট করা। এক্ষেত্রে আপনি যে লোকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তাদেরকে কেন এবং কীভাবে একটি গ্রুপ এ শ্রেণীবদ্ধ করবেন সে সম্পর্কে চিন্তা করুন।
2. কোন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে মার্কেটিং করবেন তা নির্ধারণ করুন
একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসেবে আপনি আপনার প্ল্যাটফর্মগুলিতে কী ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করবেন তা নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের চাহিদা অনুসারে আপনার বিজনেসের ক্ষেত্রে কোন সোশ্যাল চ্যানেলগুলো ব্যবহার করবেন সে ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।
3. ইউনিক এবং ইনগেচিং কনটেন্ট তৈরী করুন
বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের মধ্যে কমপক্ষে কিছু সংখ্যক ফলোয়ার বা আপনার প্রোফাইল ব্রাইজকারী লোকেরা কোন প্রশ্ন ছাড়াই আপনার প্রতিযোগীর কনটেন্ট অথবা আপনার ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য বিজনেসেও দর্শন করে থাকে।
আর তাই একটি সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট এমন হওয়া উচিত যার মাধ্যমে আপনি আপনার ফলোয়ারদের আপনার ব্র্যান্ডের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারবেন। আপনার প্রতিযোগীরা কোন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করছে অথবা কীভাবে আপনার প্রোডাক্টগুলি ইউনিকভাবে প্রমোট করতে পারবেন তা বিবেচনা করুন। এই বিষয় আপনাকে সৃজনশীল হতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার প্রোডাক্ট লঞ্চ সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য শেয়ার করার জন্য ফেইসবুকে লাইভ ভিডিও তৈরী করতে পারেন।
আপনার কনটেন্ট জেনারেট করার ক্ষেত্রে সাহায্য পেতে কারেন্ট কাস্টমার এবং প্রোমোটারদের ব্যবহার করুন। আপনি তাদের কনটেন্টগুলে রি-পোস্ট করতে পারেন অথবা আপনার প্রোডাক্টগুলির সাথে তাদের ছবি এবং অভিজ্ঞতা হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন।
4. আপনার পোস্টের জন্য সিডিউল তৈরী করুন
আপনার নির্দিষ্ট প্ল্যান অনুযায়ী কনটেন্ট শেয়ার নিশ্চিত করার একটি সহজ উপায় হলো সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সল্যুশন ব্যবহার করা। এই টুলগুলি আপনাকে ক্যাপশন লেখার, ছবি ও ভিডিও তৈরী করার, এবং অ্যাডভান্সড পোস্ট সিডিউল করার সুবিধা দিয়ে থাকে।
এটি অটোমেটিক্যালি সিডিউল অনুসারে আপনার পোস্ট শেয়ার করবে এবং পাশাপাশি আপনার সমস্ত পোস্টের ইন্টারঅ্যাকশন এবং ইনগেজমেন্ট মনিটর করবে। মূলত সোশ্যার মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সল্যুশন আপনার সময়কে সাশ্রয় করে এবং আপনাকে আপনার অন্যান্য কাজেও ফোকাস করার সুবিধা দিয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুলগুলির মধ্যে HubSpot, Sprout Social, Hootsuite ইত্যাদি অন্যতম।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: A Simple Definition
সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং শুরু করুন
কোটি কোটি সোশ্যার মিডিয়া ব্যবহারকারী লোকেদের মধ্যে এটা দেখা একটি সহজ ব্যাপার যে কতগুলো বিজনেস এবং মার্কেটাররা তাদের প্রোডাক্টস প্রমোট এবং কাস্টমারদের ইনগেজ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলি ব্যবহার করে থাকে। যদি আপনার কোম্পানীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকশনের কোর্স নির্ধারণ করা জটিল বলে মনে হয়, তবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ট্রেন্ড বোঝার মাধ্যমে এবং এই বিষয় সম্পর্কিত অ্যাভেইলেবল প্রচুর রিসোর্চ ব্যবহার করে আপনার দ্বিধা দূর করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: A Simple Definition

আমার প্রফাইলে স্বাগতম, আমি আরিফুল ইসলাম, StudyTech-এর CEO এবং Founder। আমি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, SEO, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ এবং ফ্রিল্যান্সিং করছি প্রায় ১০ বছর ধরে এবং এই বিষয়গুলো নিয়ে নিয়মিত ব্লগ লেখার চেষ্টা করি নিজের নলেজ অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে, যাতে সবাই উপকৃত হয়।
আমি ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি আমার নিজস্ব মার্কেটিং এজেন্সির মাধ্যমে আইটি রিলেটেড সাপোর্ট দিয়ে থাকি, যেমনঃ ওয়েবসাইট বানানো, ওয়েবসাইতের জন্য এসইও করা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ভিডিও এডস তরি, গুগল এবং ফেসবুক এডস বুস্ট সার্ভিস দিয়ে থাকি। এবং আমি একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারও পরিচালনা করি, যেখানে নতুনদের ডিজিটাল স্কিল এবং ফ্রিল্যান্সিং শেখাই।
আমার সাথে কানেক্ট হতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়াতে:
🔗 ওয়েবসাইট: arifulislam.com.bd
🔗 লিংকডইন: linkedin.com/in/arifinfo
🔗 ফেসবুক: facebook.com/ariful.info
ভালো লাগার মত একটি পোস্ট । আমাদের দেশে অনেকেই এখন ভালো ব্লগ লিখে । কিছু দিন আগেও এমন টা দেখিনি । এই ব্লগ গুলো থেকে অনেক কিছু শেখার আছে । বিশেষ করে মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক কিছু জানার আছে । অনেক পরিস্রম করে লিখার জন্য ধন্যবাদ ।
দাউদুল ইসলাম