ফাইভারে সেল বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু কৌশল

ফাইভারে নতুন একাউন্ট তৈরির শুরুতে ক্লায়েন্ট না পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কেননা, ফাইভার এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে হাজার হাজার সেলার তাদের কাজের দক্ষতা দিয়ে টিকে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে। ক্লায়েন্টরা বরাবরই দক্ষ সেলারের সন্ধান করে থাকে। 

সেখানে আপনি যদি সদ্য নতুন একজন সেলার হন তাহলে আপনাকে এমন কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে, যার মাধ্যমে আপনিও অন্যান্য সেলারদের মতো বেশি ট্রাফিক/ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। আর কেবলমাত্র অতিরিক্ত ট্রাফিকই আপনার ফাইভারে সেল বাড়াতে সক্ষম।

১) একটি ভালো মানের গিগ তৈরী করুন:

ভালো সেল পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে আপনার গিগের দিকে নজর দিতে হবে। এটি ফাইভারে সেল বাড়ানোর কৌশল গুলির মধ্যে একটি। একটি ভালো মানের গিগ আপনাকে আরো বেশি ট্রাফিক দেয়ার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখতে পারে। পাঁচটি বিষয় যা আপনার গিগকে উন্নত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ। 

  • গিগ টাইটেল: গিগের শিরোনামটি এমন হওয়া উচিত যাতে বায়ার  সহজেই আপনার গিগটিকে পছন্দ করতে পারে। গিগ শিরোনাম  Eye-Catching  হতে হবে। যথাসম্ভব গিগ শিরোনাম ৬০ ক্যারেক্টারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন এবং কীওয়ার্ড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমন কীওয়ার্ড বাছুন, যেগুলোতে সচরাচর ট্রাফিক সার্চ করে থাকে।
  • গিগ ডিস্ক্রিপশন: গিগ ডিস্ক্রিপশনে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। তবে একই কীওয়ার্ড ডিস্ক্রিপশনে দুইবারের বেশি ব্যবহার করবেন না। গিগের বর্ণনা লেখার সময় যথাসম্ভব পরিষ্কার ভাবে লিখুন এবং লেখার মাঝে বুলেট ব্যবহার করবেন না।  গিগ ডিস্ক্রিপশন এমন ভাবে লিখুন যা নিম্নলিখিত প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম।

            ক) আপনি কে?

            খ) আপনি কি ধরণের সার্ভিস দিচ্ছেন এবং সেই সার্ভিসিংএর ক্ষেত্রে  আপনার দক্ষতা কতটুকু?

            গ) অর্ডার দেয়ার ক্ষেত্রে বায়ার কেন আপনাকে পছন্দ করবে? 

            ঘ) বায়ার যখন অর্ডার করে তখন আপনার কাছে থেকে তার কি আশা করা উচিত?

  •  গিগ ট্যাগস : সঠিক ট্যাগের ব্যবহার গিগকে ইউনিক করে তোলার ক্ষেত্রে অতুলনীয়। তাই ট্যাগগুলিতে এমন সব কীওয়ার্ড যুক্ত করুন যা সচরাচর বায়াররা গিগ সার্চিং এর জন্য ফাইভার সার্চ বক্সে টাইপ করে থাকে। 
  • গিগ ইমেজ : গিগ এর জন্য আকর্ষণীয় ইমেজ তৈরী করুন। আপনার সার্ভিসটি যথাসম্ভব গিগ ইমেজের মাধ্যমে তুলে ধরুন। যাতে বায়ার সহজেই শুধুমাত্র গিগ ইমেজ দেখেই আপনার সার্ভিস সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যায়। গিগের জন্য সর্বনিম্ন তিনটি ইমেজ তৈরী করুন। এটি ভালো গিগ সেলের একটি অনন্য উপায়

২) সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলিতে গিগ প্রচার করুন :

ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, টুইটার, লিঙ্কেডিন এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক গুলিতে আপনার গিগ প্রচার করুন। আপনার সার্ভিস সম্পর্কে বিজ্ঞাপন তৈরী করুন। এই কৌশল আপনাকে ভালো সেল পেতে সাহায্য করবে। 

৩) সঠিক সময়ে ভালো মানের সার্ভিস প্রদানের চেষ্টা করুন :

সঠিক সময়ে সার্ভিস প্রদান ফাইভারে ভালো সেল হওয়ার একটি অনন্য উপায়। বায়ারকে সময়মতো অথবা সময়ের পূর্বেই ডেলিভারি দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনি বায়ারের আস্থাভাজন হতে পারেন এবং এই কৌশল ক্লায়েন্ট ধরে রাখার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন ১২-১৫ ঘন্টা ফাইভারে একটিভ থাকুন।  

৪) নিয়মিত বায়ার রিকোয়েস্ট সেন্ড করুন:

সেল বা অর্ডার পেতে আপনাকে নিয়মিত বায়ার রিকোয়েস্ট চেক করার পাশাপাশি প্রতিদিন ১০ টি করে বায়ার রিকোয়েস্ট সেন্ড করতে হবে। এতে আপনার অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

৫) ব্লগ পোস্ট করুন:

অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং বেশি সেল পেতে গিগ প্রচারের জন্য এটি একটি অনন্য পদ্ধতি। ব্লগার.কম ব্যবহার করে আপনার গিগ এর উপর একটি ব্লগ পোস্ট তৈরী করে তাতে আপনার ফাইবারের লিংকটি সংযুক্ত করে দিন। এই কৌশলটি আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি সেল পেতে সাহায্য করবে। 

ফাইভারে ভালো সেল পেতে একজন সেলারকে অবশ্যই সুদক্ষ হতে হবে এবং কৌশল অবলম্বন করা জরুরী। উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলি ফাইভারে আপনার সেল বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, ফাইভারে আপনার কাঙ্ক্ষিত ট্র্যাফিক এবং সেল পাওয়ার জন্য নির্ধারিত কৌশলগুলি মেনে চলুন। ফাইভারে সেল বাড়ানোর কৌশল গুলি আপনার সফল হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *