Digital Markettting

ডিজিটাল মার্কেটিং: Your Way To Success

ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং, ইন্টারনেট অ্যাডভার্টাইজিং যাই বলুন না কেন বর্তমানে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আপনার কোম্পানীকে অনলাইনে মার্কেটিং করা। আজকের দিনে ইন্টারনেট কতটা অ্যাক্সেসযোগ্য তা অনুধাবন করা যায় প্রতিদিন অনলাইনে অ্যাকটিভ লোকেদের সংখ্যার ওপর। শেষ তিন বছরে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে “কনস্ট্যান্ট” ইন্টারনেটের ব্যবহার ৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। 

সর্বোপরি, বিগত দশকে ইন্টারনেটের ব্যবহারের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি। ইন্টারনেট ব্যবহারের এই চাহিদা লোকেদের পণ্য ক্রয় এবং তাদের ব্যবসার যোগাযোগ পদ্ধতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং অন্য যে কোনও মার্কেটিংয়ের মতোই আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং তাদের প্রভাবিত করার একটি উপায়। তবে পার্থক্য হ’ল, আপনাকে সেই গ্রাহকদের সাথে অনলাইনে যোগাযোগ করতে হবে। 

মূলত, ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে অনলাইনে মার্কেটিং করার প্রচেষ্টাকে বোঝানো হয়। একটি বিজনেসের বর্তমান এবং সম্ভাব্য গাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, Pay-Per-Click Advertising, এমনকি ব্লগিং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সেরা উদাহরণ। 

এগুলো আপনার কোম্পানীকে গ্রাহকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে তাদের ক্রয়ের ক্ষেত্রেও উৎসাহ প্রদান করে। ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্যবসা এবং ব্র্যান্ড সচেতনতার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। যদি তা না থাকে তবে কমপক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া বা ডিজিটাল এ্যাডের কৌশল রয়েছে। 

ডিজিটাল কনটেন্ট এবং মাকের্টিং এখন এতটাই কমন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যে গ্রাহকরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলি সম্পর্কে জানার উপায় হিসেবি এর ওপরই নির্ভর করে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, একজন বিজনেস মালিক হিসেবি প্রতিযোগিতামূলক হতে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কয়েকটি বিষয় আঁকড়ে ধরা জরুরী। 

যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাথে অনেকগুলি বিকল্প এবং কৌশল সম্পর্কযুক্ত, আপনি আপনার বাজেটে বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল নিয়ে ক্রিয়েটিভ এবং এক্সপেরিমেন্ট নিতে পারেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি কোনো ট্রেডিশনাল প্রচারমূলক সামগ্রী যেমন বিলবোর্ড বা প্রিন্ট অ্যাডের চেয়ে আপনার প্রচারগুলির সাকসেস মনিটর করতে অ্যানালাইটিকস ড্যাশবোর্ডের মতো টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

এটি কিভাবে কাজ করে?

বিভিন্ন উপায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ের চেয়ে আলাদা নয়। দুটিই সাধারণত স্মার্ট অর্গানাইজেশনগুলির সম্ভাবনা, নেতৃত্ব এবং গ্রাহকদের সাথে পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করে। তবে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেডিশনাল মার্কেটিং কৌশলকে রিপ্লেস করেছে। কেননা এটি আজকের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনার করা শেষ গুরুত্বপূর্ণ ক্রয়ের কথাই চিন্তা করুন। ধরুন, আপনি একটি বাড়ি কিনেছেন, বাড়িটির ছাদ ঠিক করার জন্য কাউকে নিয়োগ করেছেন অথবা আপনার অফিসে পেপার সাপ্লাইকারীদের পরিবর্তন করেছেন। সেক্ষেত্রে আপনি সম্ভবত এর সমাধানগুলি, কে সাপ্লাই করেছিল এবং সমাধানের সেরা বিকল্পগুলি কি তা জানতে ইন্টারনেটে সার্চ করেছিলেন। 

ঠিক এইভাবে বেশিরভাগ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত অনলাইনেই শুরু হয়। আপনি কি সেল করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় অনলাইনে উপস্থিতিই হচ্ছে মূলবিষয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধাসমূহ

একটি স্ট্রং ডিজিটাল প্রেজেন্স আপনাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারে:

১) এটি বিক্রয়ের আগে ও পরে উভয় ক্ষেত্রেই ইনগেজমেন্ট এবং ব্যস্ততা তৈরী করতে আপনাকে সাহায্য করবে।

২) যারা সাধারণত বেশি কেনে এমন সব নতুন বায়ারদেরকে পাগল ফ্যান এ রূপান্তর করতে সাহায্য করবে।

৩) এটি সোশ্যাল শেয়ারিং সহ সমস্ত রকমের সুবিধা প্রদান করে থাকে।

৪) সঠিক সময়ে সঠিক অফার প্রেজেন্ট করার মাধ্যমে এটি বায়ারদের যাত্রাকে আরো ছোট করতে সাহায্য করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল

ওয়েবসাইট  মার্কেটিং 

ওয়েবসাইট হ’ল সমস্ত ডিজিটাল মার্কেটিং ক্রিয়াকলাপের কেন্দ্রস্থল। এটি একটি পাওয়ারফুল চ্যানেল এবং বিভিন্ন মার্কেটিং প্রচারণা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় মাধ্যম। একটি ওয়েবসাইট এমন হওয়া উচিত যেখানে একটি ব্র্যান্ড, পণ্য এবং সার্ভিসসমূহ পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করা থাকবে। এটি মোবাইল-ফ্রেন্ডলী এবং সহজভাবে ব্যবহারযোগ্য হওয়া উচিত।

Pay-Per-Click (PPC) অ্যাডভার্টাইজিং

PPC অ্যাডভার্টাইজিং মার্কেটারদের পেইড এডসের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইন্টারনেট ইউজারদের নিকট পৌঁছাতে সাহায্য করে। মার্কেটাররা সাধারণত Google, Bing, LinkedIn, Twitter, Pinterest অথবা Facebook এ তাদের PPC প্রচার চালাতে পারে এবং পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কিত বিজ্ঞাপনগুলি সার্চিং এর মাধ্যমে লোকেদের দেখার সুযোগ করে দিয়ে থাকে। 

PPC প্রচারের বিভাগ সাধারণত ইউজারদের ক্যারেক্টারের ওপর ভিত্তি করে (বয়স বা লিঙ্গ অনুসারে), অথবা তাদের আগ্রহ বা অবস্থানকে টার্গেট করে গঠিত হয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় PPC প্ল্যাটফর্মগুলি হ’ল- 

  • Google Ads এবং 
  • Facebook Ads

কনটেন্ট মার্কেটিং

কনটেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোই হল কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের মূল লক্ষ্য। মূলত কনটেন্ট প্রথমে কোনো একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং, এসইও, অথবা PPC প্রচারের প্রচারিত হয়ে থাকে। 

Blogs, Ebooks, Online Courses, Infographics, Podcasts, Webinars ইত্যাদি কনটেন্ট মার্কেটিং টুলগুলোর অন্তর্ভূক্ত।

ইমেইল – মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিং বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি অন্যতম কার্যকরী চ্যানেল। মূলত ইমেইল মার্কেটিং আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের বা আপনার ব্র্যান্ডে আগ্রহী ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। অনেক ডিজিটাল মার্কেটাররা তাদের ইমেইল লিস্টে লিড এ্যাডের ক্ষেত্রে অন্যান্য সমস্ত ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে এবং পরবর্তীতে ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে তারা গ্রাহকদের লিডে পরিণত করতে Customer Acquisition Funnel তৈরি করে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সাধারণত একটি ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়ানো এবং সামাজিক বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করাই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রাথমিক লক্ষ্য। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে-

  • ফেসবুক
  • টুইটার.
  • লিঙ্কডইন
  • ইনস্টাগ্রাম
  • স্ন্যাপচ্যাট
  • পিন্টারেস্ট এর মতো চ্যানেলগুলি ব্যবহার করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সাধারণত আপনি লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা সরাসরি একটি সেল চ্যানেল হিসেবি ব্যবহার করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো মার্কেটিং এর অন্যতম একটি প্রাচীন রূপ, যা ইন্টারনেটের ছোঁয়ায় নতুন রূপ লাভ করেছে। এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মার্কেটাররা অন্য ব্যক্তির পণ্যসামগ্রীর প্রচারকার্য চালায় এবং প্রতিবার লিড প্রবর্তন বা সেলের জন্য কমিশন লাভ করে থাকে। 

অ্যামাজনের মতো অনেক নামী কোম্পানীগুলোর এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে যেগুলো তাদের পণ্যগুলি বিক্রি করে দেয় এবং বিনিময়ে কোম্পানীগুলো তাদের ওয়েবসাইটগুলিতে প্রতি মাসে কয়েক মিলিয়ন ডলার প্রদান করে।

ভিডিও মার্কেটিং

বর্তমানে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনে জনপ্রিয়তার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। 

প্রচুর ইউজার এখন কিছু ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে, কিছু জানতে অথবা রিভিউ পড়ার জন্য ইউটিউবের ওপর পুরোপুরিভাবে নির্ভরশীল। ভিডিও মার্কেটিং প্রচার চালানোর জন্য ফেসবুক ভিডিও, ইনস্টাগ্রাম, বা টিকটকসহ বেশ কয়েকটি ভিডিও মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। 

কোম্পানীগুলো সাধারণত এসইও, কনটেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্রচারের সাথে ভিডিও এড করার মাধ্যমে সর্বাধিক সাফল্যের সন্ধান করে থাকে।

এসএমএস ম্যাসেজিং

বিভিন্ন কোম্পানী এবং নন-প্রোফিট অর্গানাইজেশনগুলো তাদের সর্বশেষ প্রচারগুলি বা ইচ্ছুক গ্রাহকদের সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্য প্রেরণের জন্য এসএমএস বা টেক্সট ম্যাসেজেস ব্যবহার করে থাকে। 

এমনকি রাজনৈতিক প্রার্থীরাও তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য ছড়িয়ে দিতে এসএমএস ম্যাসেজ প্রচার ব্যবস্থা ব্যবহার করে। 

একজন ডিজিটাল মার্কেটারের কাজ কি?

সাধারণত একজন ডিজিটাল মার্কেটার ফ্রি অথবা পেইডে কোনো একটি কোম্পানীর ব্র্যান্ডের অবগতি পরিচালনা এবং সমস্ত ডিজিটাল চ্যানেলগুলির মাধ্যমে লিড জেনারেশনের কাজে নিযুক্ত থাকে। চ্যানেলগুলির মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া, কোম্পানীর নিজস্ব ওয়েবসাইট, সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং, ইমেইল, ডিসপ্লে অ্যাডভার্টাইজিং, কোম্পানী ব্লগ ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটাররা সাধারণত প্রতিটি চ্যানেলের জন্য আলাদা Key Performance Indicator অর্থাৎ KPI এর দিকে ফোকাস করে থাকে। যাতে তারা কোম্পানীর প্রতিটির পারফরমেন্স সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারে। 

উদাহরণস্বরূপ, এসইওর দায়িত্বে থাকা একজন ডিজিটাল মার্কেটার তাদের ওয়েবসাইটের “অর্গানিক ট্র্যাফিক” পরিমাপ করে।

ছোট কোম্পানীগুলোতে একজন জেনারালিস্ট একসাথে অনেকগুলো ডিজিটাল মার্কের্টিং কৌশলের অধিকারী হতে পারে। অপরদিকে বড় কোম্পানীগুলোতে এই কৌশলগুলির একাধিক স্পেশালিস্ট রয়েছে যারা তাদের প্রতিটি ফোকাস ব্রান্ডের ডিজিটাল চ্যানেলগুলির মধ্যে কেবল একটি বা দুটির ওপর দিয়ে থাকে।

এমন কয়েকটি স্পেশালিস্টের উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

এসইও ম্যানেজার

সংক্ষেপে বলতে গেলে এসইও ম্যানেজাররা একটি বিজনেসকে গুগলে র‌্যাঙ্ক করে থাকে। তারা তাদের তৈরীকৃত কনটেন্ট এর গুগলে ভালো পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে সরাসরি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সাথে কাজ করে থাকে। 

কনটেন্ট মার্কেটিং স্পেশালিস্ট

কনটেন্ট মার্কেটিং স্পেশালিস্ট বলতে সাধারণত ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের বোঝায়। তারা সবসময় কোম্পানীর ব্লগিং ক্যালেন্ডার ট্র্যাক করে থাকে এবং ভিডিও যুক্ত আছে এমন সব কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কাজ করে। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের ক্যারেক্টার সাধারণত টাইটেল থেকেই অনুমান করা সহজ। কিন্তু তারা কোম্পানীর ক্ষেত্রে কোন সোশ্যাল মিডিয়াগুলি ম্যানেজ করে তা নির্ভর করে ইন্ডাস্ট্রির ওপর। সর্বোপরি, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা কোম্পানীর লিখিত এবং ভিজ্যুয়াল কনটেন্টের জন্য একটি পোস্টিং সিডিউল স্থাপন করে। 

এই ধরনের এমপ্লোয়িরা সাধারণত কোন্ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কোন ধরণের পোস্ট করতে হবে তার কৌশল ডেভেলোপের জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং স্পেশালিস্টদের সাথেও কাজ করে থাকে।

মার্কেটিং অটোমেশন কো-অর্ডিনেটর

একজন মার্কেটিং অটোমেশন কো-অর্ডিনেটর এমন সফটওয়্যার নির্বাচন এবং ম্যানেজ করতে সাহায্য করে যা পুরো মার্কেটিং টিমকে তাদের কাস্টমারের আচরণ এবং বিজনেস গ্রোথকে পরিমাপ করার সুযোগ দেয়। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি সব ধরনের বিজনেসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

ডিজিটাল মার্কেটিং যে কোন ইন্ডাস্ট্রির যে কোন বিজনেসের ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারে। এটি আপনার অডিয়েন্সের প্রয়োজনগুলি আইডেন্টিফাই করতে এবং মূল্যবান কনটেন্ট  তৈরী করার ক্ষেত্রে বায়ারদের ব্যক্তিত্ব বিল্ড করার সাথে জড়িত। সুতরাং, এটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে সমস্ত বিজনেসের ক্ষেত্রে একইভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল বাস্তবায়ন করা জরুরী। 

B2B ডিজিটাল মার্কেটিং

যদি আপনার কোম্পানীটি বিজনেস-টু-বিজনেস অর্থাৎ B2B হয় তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রচেষ্টাগুলি অনলাইন লিড জেনারেশনকে কেন্দ্র করে করতে হবে। যার শেষ লক্ষ্য একজন সেলস পার্সন এর সাথে কথা বলা। 

আর তাই সেক্ষেত্রে আপনার মার্কেটিং কৌশলের ভূমিকা হবে ওয়েবসাইট এবং ডিজিটাল চ্যানেলগুলিকে সাপোর্ট করার মাধ্যমে আপনার সেলসপিপলদের জন্য সর্বোচ্চ মানের লিড আর্কষণ এবং রূপান্তর করা। 

ওয়েবসাইটের বাইরেও আপনার প্রচেষ্টাকে ফোকাস করতে লিঙ্কডইনের মতো বিজনেস-ফোকাস চ্যানেলগুলিকে বেছে নিন। 

B2C ডিজিটাল মার্কেটিং

যদি আপনার কোম্পানীটি আপনার পণ্যসমূহের মূল্যের ওপর ভিত্তি করে বিজনেস-টু-কনজুমার অর্থাৎ B2C হয়, তাহলে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো লোকেদের আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি আকৃষ্ট করা এবং কোনো সেলসপার্সন এর সাথে কথা বলার প্রয়োজন ছাড়াই তাদের গ্রাহক হয়ে ওঠা। 

এর ফলে আপনি প্রকৃত অর্থে ‘লিডস’ এর দিকে বেশি ফোকাস করার তুলনায় আপনার ওয়েবসাইটে বায়ার পৌঁছানোর মূহুর্ত থেকে ক্রয় করার মূহুর্ত পর্যন্ত বায়ারের যাত্রা বৃদ্ধির দিকে বেশি ফোকাস করবেন। 

B2C কোম্পানীগুলোর ক্ষেত্রে লিংকডইন এর মতো বিজনেস-ফোকাসড প্লাটফর্মের তুলনায় ইন্সটাগ্রাম এবং পিন্টারেস্টের মতো চ্যানেলগুলি অধিক মূল্যবান।

কোনো কোম্পানীর ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভূমিকা কি?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অফলাইন মার্কেটিং প্রচেষ্টা ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে পৃথক। এটি সাধারণত মার্কেটারদের সঠিক সময়ে সঠিক ফলাফর দেখার সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি যখন কোনো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেবেন, তখন কতজন লোক সেটা দেখল তা আপনার পক্ষে অবশ্যই নির্ণয় করা কঠিন। 

বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি আদৌ কোনো কাজে এসেছিল কি না তা জানার নিশ্চিত কোনো উপায় নেই। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সাহায্যে আপনি আপনার মার্কেটিং প্রচেষ্টার যে কোন ক্ষেত্রের ROI পরিমাপ করতে পারেন।

নিচে কিছু উদাহরণ দেয়া হলো:

ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে HubSpot এর মতো মার্কেটিং প্লাটফর্মগুলোতে সহজলভ্য ডিজিটাল অ্যানালিটিক্স সফটওয়্যার ব্যবহার করে সঠিক সময়ে আপনার ওয়েবসাইটের হোমপেজে দর্শনকারী লোকের সঠিক সংখ্যা আপনি মূহুর্তেই দেখতে পারেন। 

এছাড়াও অন্যান্য ডিজিটাল অ্যানালিটিক্স ডেটার মধ্যে তারা কতগুলো পেইজ ভিজিট করেছে, কোন ডিভাইস ব্যবহার করেছে, এমনকি তাদের অবস্থানও আপনি দেখতে পাবেন। আপনার ওয়েবসাইটে চ্যানেল পরিচালনা করছে এমন লোকের সংখ্যার ভিত্তিতে এই কৌশল আপনাকে কোন চ্যানেলগুলিতে বেশি অথবা কম সময় ব্যয় করতে হবে সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে সহায়তা করে। 

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ট্র্যাফিকের ১০% অর্গানিক ‍সার্চ থেকে আসে, সেক্ষেত্রে আপনি জানেন যে এই শতাংশের পরিমাণ বাড়াতে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এসইও তে সময় ব্যয় করা প্রয়োজন।

অফলাইন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ক্রয় করার পূর্বে লোকেরা আপনার ব্র্যান্ডের সাথে কীভাবে ইন্টারঅ্যাক্ট করছে তা বলা খুব কঠিন। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি ক্রেতাদের ক্রয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর পূর্বে তাদের আচরণের প্রবণতা এবং নমুনা শনাক্ত করতে পারবেন। 

অর্থাৎ, আপনি কীভাবে মার্কেটিং ফানেলের শীর্ষে আপনার ওয়েবসাইটে তাদের আকর্ষণ করতে পারেন সে সম্পর্কে আরও সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

কনটেন্ট পারফরমেন্স এবং লিড জেনারেশন

ধরুন, আপনি অফলাইনে থেকে কোনো একটি প্রোডাক্টের প্রচারপত্র তৈরী করেছেন এবং সেটাকে লোকেদের লেটারবক্স মারফত পোস্ট করেছেন। প্রচারপত্র সাধারণত কনটেন্টের আরেকটি রূপ হলেও মূল সমস্যাটি হল কতজন এই প্রচারপত্রটি খুলেছিল বা খোলেনি সে সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন না। 

এখন ধরুন, এই প্রচারপত্রটি আপনার নিজের ওয়েবসাইটে ছিল। এখন আপনি প্রচারপত্রটিকে যে পেজে হোস্ট করেছিলেন সেখানে কতজন লোক দর্শন করেছিল তা পরিমাপ করতে পারবেন এবং যারা ফর্ম ব্যবহার করে এটি ডাউনলোড করেছিল তাদের কনট্যাক্ট ডিটেইলস ও সংগ্রহ করতে পারবেন। 

আপনার কনটেন্টে কতজন আকর্ষিত হয়েছে শুধু তাই পরিমাপ করতে পারবেন এমনটা নয়, সেইসাথে আপনি লোকেদের এটি ডাউনলোড করার সময় লিডও জেনারেট করতে পারবেন।

এট্রিবিউশন মডেলিং

সঠিক টুলস এবং টেকনোলজীর সাথে মিলিত কার্যকরী ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল আপনাকে আপনার বিজনেসের সাথে কাস্টমারদের ফার্স্ট ডিজিটাল টাচ পয়েন্টে আপনার সবগুলো বিক্রয় ট্রেস করার সুবিধা দেয়। 

আমরা এই এট্রিবিউশনকে মডেলিং বলে থাকি। কেননা, এটি মার্কেটিং কৌশলের কোন অংশের দিকে বেশি ফোকাস করতে হবে এবং আপনার বিক্রয় চক্রের কোন অংশটি রিফাইন করতে হবে সেই সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। 

পাশাপাশি, লোকেরা কিভাবে আপনার পণ্যটি রিসার্চ করে এবং কেনে সেই প্রবণতাগুলো আইডেন্টিফাই করতে সাহায্য করে। আপনি যদি ডিজিটাল টেকনোলজী ব্যবহার করে ক্রয়চক্রের মাধ্যমে আপনার গ্রাহকের যাত্রা উন্নতি করতে পারেন তবে আপনার বিজনেসের ক্ষেত্রে এটি একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। 

শেষ কথা

মূলত, ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ফিউচার মার্কেটিং। আপনি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচেষ্টার ফলাফলকে অবিশ্বাস্য নির্ভুলতার সাথে ট্র্যাক করতে পারেন। 

অর্থাৎ, কোন কৌশলগুলি লাভজনক ফলাফল তৈরি করছে এবং কোনটিকে উন্নত করা প্রয়োজন ছিল তা আপনি সহজেই বুঝতে পারেন। সুতরাং, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সঠিক পন্থা অবলম্বন করুন এবং আপনার বিজনেসকে বাড়িয়ে তুলুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *